রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১২

“পাঠার বলি”

মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা অশান্ত হয়ে উঠেছে। ঠিক বোঝা
যাচ্ছে না ঘটনা কোন দিকে গড়াবে। এমনকি দুই দলের সংঘাত-সংঘর্ষ কোন চেহারা
ধারণ করবে সেটাও ঠিক নেই। এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই বলা যায় ক্ষমতার
পরিসরে প্রধান উপস্থিতি কিন্তু বিএনপি ঘটনার কার্যকারণে হঠাৎ সবল হয়ে
কর্মসূচী দিয়েছে।
এতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পতন ও পূর্ণ উত্থান এবং ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান
ভূমিকা পালন করেছে। "দেখা যাক কী হয়" এখন " কী হবে কেজানে"তে গিয়ে অবস্থা
ঠেকেছে।
আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত গুবলেটটা তাদের ইমেজ সমস্যা তৈরি করেছে। যেভাবে
তিনি ধরা পড়লেন সেটা যেমন কিছুটা আশ্চর্যজনক তেমনি দল কর্তৃক হাতপা
গুটিয়ে তাকে ত্যাগ করাটা ছিল তেমনি কৌতুহল উদ্দীপক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে
কোন 'মন্ত্রী' অসাধু প্রমাণ হলে কেউ হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে না কিন্তু
যেভাবে সুরঞ্জিত দ্রুততার সাথে বর্জ্য পদার্থে পরিণত হলেন দল ও সরকারের
কাছে সেটা ছিল বেশ চমৎকৃত হওয়ার মত। দলসমূহ তো সব সময় দলের মানুষকে রক্ষা
করে যত অভিযোগই তার বিরুদ্ধে থাকুক কিন্তু "সুরঞ্জিত ত্যাগ" পর্ব দেখে
অনেকের মনে হয়েছে "পাঠার বলি" তে তিনি পরিণত হয়েছেন দলের রাজনৈতিক
সুবিধার বিবেচনায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন