আমারা আপনাদেরে প্রয়োজনীয় চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি ।আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা বলুন , আমরা তার ভাল খারাপ দিক বলতে সাহায্য করব ।
সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২
মহান মে দিবস এবং আমার ভবনা
মার্কেট চত্বরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে
অনেক শ্রমিক হতাহত হন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। দেশে
দেশে গড়ে ওঠে মেহনতি জনতারঐক্য। অবশেষে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য
হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর রক্তঝরা দিনটিকে স্বীকৃতি
দিয়ে 'মে দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৮৯০ সাল থেকেপ্রতি বছর
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে মে দিবস।
পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত,প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে
১২ ঘন্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগন্য, শ্রমিকরা খুবই
মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪
সালে যুক্তরাষ্ট্রেরশিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করার
জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময়
বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানা মালিকগণএ দাবী মেনে নিল
না।
৪ঠা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট
নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা
১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে
উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া
শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন।
হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ
নিহত হয়।পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা
রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায়
আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭
সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন,
অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট
স্পীজ বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক
শক্তিশালী হবে"। ২৬শে জুন, ১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই
নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর
পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ
প্রথমে আসি গার্মেন্টেস শ্রমিকদের কথায়। আমাদের গার্মেন্টেস শিল্পের অল্প
সংখ্যক কারখানা আছে যারা সরকারী নিয়ম মানে। বেশীর ভাগ কারখানার নুন্যতম
কাজের সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা মোট ১২ ঘন্টা কিন্তু তারপরও রাত ১০টা
১১টা পর্যন্ত চলে। মাসে হয়ত একটি শ্রুক্রবার বন্ধ পায়। এখানে শ্রমিকদের
নিজের দিন বলতে কিছু নেই।
রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২
বাংলা কৌতুক
সর্দারজি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রাফিক পুলিশ থামতে ইশারা করল।
সর্দারজি: দুঃখিত, স্যার, আমরা ইতিমধ্যেই তিনজন উঠে বসে আছি, আপনাকে
ওঠানোর মতো জায়গা নেই!
************************
অপেক্ষা
প্রচণ্ড গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল বল্টু। পথে ট্রাফিক পুলিশ তার
পথ রোধ করে দাঁড়াল।
ট্রাফিক পুলিশ: তোমার মতো বেয়াড়াদের ধরতেই দিনভর এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা
করি, বুঝলে বাছাধন?
বল্টু: সে জন্যই তো যত দ্রুত সম্ভব আপনার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছিলাম!
**********************
চাকরী না দিয়ে যাবে কোথায়
একটা বিয়ার কোম্পানিতে বিয়ারের স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য লোক নিয়োগ
দিচ্ছিল। বাজে চেহারার এক মাতাল ইন্টারভিউ দিতে এল। কোম্পানির ডিরেক্টর
একে দেখেই বাতিলের খাতায় রেখে দিলেন। কিন্তু ইন্টারভিউ দিতে যখন এসেছে,
তখন তো ইন্টারভিউ নিতেই হবে।
প্রথমে একগ্লাস বিয়ার দেয়া হলো। মাতাল সেটা একটু খেয়ে সব উপকরণের সঠিক
নাম বলে দিল। ডিরেক্টরের ভুরু কুঁচকে গেল।
এবার আরেক গ্লাস দেয়া হলো। সেটাও ঠিক মতো বলে দিল।
ডিরেক্টর এবার তার সেক্রেটারিতে ইশারা দিয়ে কিছু করতে বললেন।
সেক্রেটারি গ্লাসে প্রস্রাব করে নিয়ে এসে মাতালের সামনে রাখল।
মাতাল একটু খেয়ে বলল: খুব সুন্দরী, বয়স ২৬ বছর, তিন মাসের প্রেগন্যান্ট।
আমাকে চাকরিটা না দিলে আপনার স্ত্রীকে গিয়ে বলে দেব বাবাটা কে।
********************
শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১২
বাংলা কৌতুক
ছোট্ট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, 'বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?'
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, 'অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন
নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে
শোনায়।'
'দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?'
'অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট,
চকলেট নিয়ে আসে।'
'আর দাদুমণি?'
'দাদুমণিও।'
'আর ফুপি?'
'ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।'
'আ…র রহিমার মা?'
'ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়,
ঘুম পাড়িয়ে দেয়।'
সবকিছু শুনে ছোট্ট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, 'তাহলে তো আম্মু ঠিকই
বলেছে। এ বাসায় একমাত্র তুমিই কোনো কাজের না।'
************************
কাজে দক্ষতা
ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রার্থীকে প্রশ্ন করছেন কর্মকর্তা, 'আপনি কোন ধরনের
কাজে বিশেষ দক্ষ?'
প্রার্থী: আমি লেখালেখি করি। আমার দুটো বই বেরিয়েছে, আরও একটা উপন্যাস লেখছি।
কর্মকর্তা: সে তো ভালো কথা। কিন্তু আমি আসলে জানতে চাইছিলাম, অফিসে
থাকাকালীন আপনি আমাদের কী ধরনের কাজে দক্ষতা দেখাতে পারবেন?
প্রার্থী: আমি অফিসে থাকাকালীন লেখালেখি করি না, সে কথা কখন বললাম?
************************
সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২
নতুন নিয়মে ফেসবুক
অধিকারের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। আর তাই ভোক্তাদের তথ্য
অধিকারকে আরও সুনিশ্চিত করতে অচিরেই ফেসবুক নতুন কিছু শর্তারোপ
করতেযাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ জন্য ভোক্তাদের কাছ থেকে মতামতও নিয়েছে ফেসবুক। এর ফলে ফেসবুক ভোক্তারা
ব্যক্তিতথ্য বিনিময়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে 'প্রাইভেসি'র
বিষয়টিও সুনিশ্চিত হবে।
তবে নতুন শর্তে কি কি পরিবর্তন আসছে তা সুস্পষ্ট করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তবে ছবি (ইমেজ) আর ভিডিওচিত্রের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এ দুটি বিষয়ে
সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।
কারণ ভোক্তারা এ দু ধরনের তথ্য বিনিময়ে আরও বেশি সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণের
দাবি জানিয়েছেন। আর এ আবেদনকে সর্বোচ্চ আমলে নিয়েছে ফেসবুক। নির্ভরযোগ্য
সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ২০০৯ সালে সামাজিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরতে ফেসবুক একটি খসড়া
নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য স্টেটমেন্টস অব রাইটস অ্যান্ড
রেসপন্সিবিলিটিস (এসআরআর) এর মাধ্যমে নীতিনির্ধারণ করে ফেসবুক।
রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১২
“পাঠার বলি”
যাচ্ছে না ঘটনা কোন দিকে গড়াবে। এমনকি দুই দলের সংঘাত-সংঘর্ষ কোন চেহারা
ধারণ করবে সেটাও ঠিক নেই। এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই বলা যায় ক্ষমতার
পরিসরে প্রধান উপস্থিতি কিন্তু বিএনপি ঘটনার কার্যকারণে হঠাৎ সবল হয়ে
কর্মসূচী দিয়েছে।
এতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পতন ও পূর্ণ উত্থান এবং ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান
ভূমিকা পালন করেছে। "দেখা যাক কী হয়" এখন " কী হবে কেজানে"তে গিয়ে অবস্থা
ঠেকেছে।
আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত গুবলেটটা তাদের ইমেজ সমস্যা তৈরি করেছে। যেভাবে
তিনি ধরা পড়লেন সেটা যেমন কিছুটা আশ্চর্যজনক তেমনি দল কর্তৃক হাতপা
গুটিয়ে তাকে ত্যাগ করাটা ছিল তেমনি কৌতুহল উদ্দীপক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে
কোন 'মন্ত্রী' অসাধু প্রমাণ হলে কেউ হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে না কিন্তু
যেভাবে সুরঞ্জিত দ্রুততার সাথে বর্জ্য পদার্থে পরিণত হলেন দল ও সরকারের
কাছে সেটা ছিল বেশ চমৎকৃত হওয়ার মত। দলসমূহ তো সব সময় দলের মানুষকে রক্ষা
করে যত অভিযোগই তার বিরুদ্ধে থাকুক কিন্তু "সুরঞ্জিত ত্যাগ" পর্ব দেখে
অনেকের মনে হয়েছে "পাঠার বলি" তে তিনি পরিণত হয়েছেন দলের রাজনৈতিক
সুবিধার বিবেচনায়।
সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২
পদত্যাগের ঘোষণা সুরঞ্জিতের
রেলপথমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দেওয়ার পর রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সোমবার দুপুর দুইটার দিকে রেলভবনের ছয়তলায় সভাকক্ষে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রেলসচিব ফজলে কবির ও রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের। রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্য কেউ উপস্থিত নেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদায় অনুষ্ঠান চলছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দুপুর সোয়া একটার সময় পদত্যাগের ঘোষণা দেন রেলপথমন্ত্রী সুরঞ্জিত।
কথা শুনে নয় কাজ দেখে শেখো
শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২
Subho Naboborsho
মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২
সঞ্জয় কুমার
---------- Forwarded message ----------
From: sanjoypl15@gmail.com
Date: Sat, 07 Apr 2012 09:41:01 +0000
Subject:
To: go@blogspot.com
----------
Sent via Nokia Email
রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২
মৌলিক চাহিদ?
।কিন্তু আমাদের দেশে যেসব সরকারি হাসপাতাল রয়েছে তা জনসংখ্যার তুলনায় কম
।মানও ভালো নয় ।ফলে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য ভিড় করে ।এ
সুযোগ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসার নামে ব্যাবসা করছে ।তাই এ
চিকিৎসা বানিজ্য বন্ধ করতে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ।প্রতিটি
হাসপাতালে ১০ শতাংশ দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে সার্বিক চিকিৎসার যে
নীতিমালা আছে বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে ।পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলোর
মান বাড়াতে হবে ।
শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১২
চিকিৎসা এখন ব্যাবসা
।চিকিৎসাসেবায় এমন ভয়ানক পরিস্থিতির জন্য এসব হাসপাতালের ডাক্তাররাও কম
দায়ী নয় ।তাঁরাও নৈতিকতার ধার ধারেন না ।রাতারাতি কোতিপতি হতে অনৈতিক কাজ
তো করছেনই , হাসপাতালের মালিকদের সহযোগিতা করছেন অতি মুনাফার লাভে
।কয়েকজন ডাক্তার মিলে এরকম বেসরকারি হাসপাতাল ও খুলছেন ।রোগীদের দিকে না
তাকিয়ে বানিজ্যকেই প্রাধন্য দিচ্ছন তাঁরা ।এর নাম সেবা নয় , অনৈতিক
ব্যাবসা ।এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর নীতিমালার প্রয়োজন ।কিন্তু আমরা এই
বিষয়ে সরকারকে নমনীয় দেখা যাচ্ছ ।
Life means love
love none enjoy life.